স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে কথা বলতে বললেন হাইকোর্ট

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থানায় ও আদালতে হাজিরের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পালনের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে পুলিশ প্রশাসন ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন হাইকোর্ট।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থানা-হাজতে নেওয়া ও আদালতে হাজির করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে আজ বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই কথা বলেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানায় যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের ৩৩টি থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রিজন ভ্যানে করে। একসঙ্গে তাদের আবার গাদাগাদি করে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

আদালত বলেন, একটি থানার জেলহাজতে কি ২০-৫০ জন রাখার সুযোগ আছে? আইনজীবী আসাদ উদ্দিন বলেন, আদালতে পাঁচ শ-ছয় শ জনকে, কোনো কোনো দিন আরও বেশি হাজির করা হচ্ছে একসঙ্গে। সেখানে তাদের আত্মীয়রা বাইরে ভিড় করছেন।

বিষয়টি শেষের দিকে শুনবেন জানিয়ে আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের উদ্দেশে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলকে একটু থাকতে বলবেন।

সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, আইনে আছে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে। আইনজীবী বলেন, থানা থেকে ডিজিটালি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির হবে, তাতে তো অসুবিধা নেই।

অপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, ‘উনারা মাস্ক পরে বেরোবেন না, মাস্ক কি সরকার সরবরাহ করে দেবে? এতে অপরাধ হয়ে গেল?’

আদালত বলেন, ‘উনি অপরাধের কথা বলছেন না। এখানে পদ্ধতিটি কীভাবে উন্নত করা যায়, তা বলছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে ওই কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনার কথা বলছেন।’

পরে ভার্চ্যুয়ালি আদালতে যুক্ত হন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাঁকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ‘আইনজীবী আসাদ উদ্দিন একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। উনি বলছেন লকডাউন চলাকালে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন জরিমানা করা হচ্ছে ৪০০-৫০০ লোককে। তাদের থানায় নিচ্ছে প্রিজন ভ্যানে। একসঙ্গে ৫০ বা ৩০ জনকে থানাহাজতে রাখা হচ্ছে এবং সেখান থেকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি এখানে যথাযথভাবে বজায় থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের জন্য তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা, গ্রেপ্তার বা আদালতে হাজির করা হচ্ছে। উনার (আসাদ উদ্দিন) উদ্বিগ্নতা এ ক্ষেত্রে থানা থেকে ভিডিও কল বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে করা যায়। এটি অন্যভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা যায় কি না।’

অ্যাটর্নি জেনারেল পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন বলে জানান।

আদালত বলেন, উনাদের সঙ্গে কথা বলেন ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গেও কথা বলেন। কেননা এর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ও কোর্ট সম্পৃক্ত।