স্বাধীনতা পুরস্কার: আমির হামজার ছেলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হচ্ছে
সমালোচনার মুখে মো. আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করা হয়েছে আগেই। এবার আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগে তাঁর ছেলে উপসচিব মো. আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে মো. আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২৪তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বর্তমানে খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে মামলাটি এখনো হয়নি, প্রক্রিয়াধীন।
চলতি বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার ঘোষণা করা হয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেখানে ১০ ব্যক্তি ও ১ প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। সাহিত্যে প্রয়াত মো. আমির হামজার নাম ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণার পর আমির হামজাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সাহিত্যিক ও পাঠক মহলে একেবারে পরিচয়হীন এই ব্যক্তিকে নিয়ে কৌতূহল দেখা দেয়।
পরে বেরিয়ে আসে, প্রয়াত আমির হামজার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুরে। তিনি মাত্র দুটি বই লিখেছেন। আরও চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে—মো. আমির হামজার দুটি বই ‘বাঘের থাবা’ ও ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ বের হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। শুধু তাই নয়, পরে জানা যায়, আমির হামজা ছিলেন খুনের মামলার আসামিও।
অভিযোগ ওঠে, আমির হামজার ছেলে মো.আছাদুজ্জামান তাঁর বাবার জন্য সরকার নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন। আর তাতে সুপারিশ করেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। বাণিজ্যসচিব জাতীয় পুরস্কার দেওয়ার জন্য ১৬ জন সচিবের সমন্বয়ে গড়া ‘প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটি’র সদস্য। এরপর আমির হামজাকে বাদ দিয়ে এ বছরের স্বাধীনতা পুরস্কার দেয় সরকার।