সৈয়দপুরে মাস্ক ব্যবহার নেই বললেই চলে
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই। ভীতি কেটে যাচ্ছে। সরকার মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করলেও বাসিন্দাদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার নেই বললেনই চলে। অল্পসংখ্যক মানুষ মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন।
মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে বেশির ভাগ মানুষই ‘গরম লাগে’, ‘নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে’ বলে নানা অজুহাত দেন।
সৈয়দপুর পৌরসভার তথ্য অনুসারে, ৪২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরে প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। শহরে রয়েছে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ২২টি ক্যাম্প। উত্তরের ব্যবসা-বাণিজ্যসমৃদ্ধ শহর হওয়ায় এই জনপদে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। রেল, বিমান ও সড়কপথে যোগাযোগ থাকায় শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্রমতে, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৯০ জন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন।
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফুর রহমান সোহেল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিটি মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা সরকার বাধ্যতামূলক করেছে। অথচ এ ব্যাপারে আমাদের অজ্ঞতা রয়েছে। সচেতনতার অভাব বোধ করছি। সাধারণ মানুষের মধ্যে সামান্য ভয়ও নেই।’
তিনি আরও বলেন, মার্চে সংক্রমণ শুরুর সময় লক্ষণীয়ভাবে মাস্ক ব্যবহার বেড়ে যায়। এখন ১০ ভাগ লোকও মাস্ক ব্যবহার করেন কি না, সন্দেহ রয়েছে।
শহরের পাঁচমাথা মোড়, সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেট, রেলওয়ে বাজার ও সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ লোকের মুখে মাস্ক নেই। কেউ কেউ ব্যবহার করলেও তা থুতনিতে বা পকেটে রেখেছেন।
সবজি বাজারের কুলি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মাস্ক পরলে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, তাই খুলে রাখছি।’
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলম বলেন, ‘সচেতনতা বাড়াতে আমরা মাঠে রয়েছি। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, পুলিশ সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। মাস্ক না পরলে পুলিশ আরও কঠোর অবস্থানে যাবে।