সেন্ট মার্টিন রক্ষার উদ্যোগ, বাংলাদেশকে ডিক্যাপ্রিওর অভিনন্দন

অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও
ছবি: এএফপি

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের চারপাশে সুরক্ষিত সামুদ্রিক এলাকা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন হলিউডের অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। গতকাল শুক্রবার টুইটারে তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এই অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ডিক্যাপ্রিও টুইট করে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় লোকজন এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লেখেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের চারপাশে নতুন প্রতিষ্ঠিত একটি সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকার জন্য বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় সম্প্রদায় এবং এনজিওগুলোকে অভিনন্দন। জীববৈচিত্র্যের একটি সম্প্রদায়কে রক্ষা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল প্রাচীরের আবাসস্থলে সুরক্ষা দেবে এ উদ্যোগ।

১৯৯৮ সালে ২৪ বছর বয়সে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে বনভূমি সংরক্ষণে কাজ করছেন ডিক্যাপ্রিও। তাঁর ফাউন্ডেশন থেকে বনভূমি সংরক্ষণে ৩৫ প্রকল্পকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচার চালিয়ে আসছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে হাতিয়ার করেই মূলত তাঁর এ প্রচার। তবে বাংলাদেশের পরিবেশ বিষয়ে এবারই প্রথম টুইট করলেন তিনি।

সমুদ্রসম্পদ টেকসই উপায়ে আহরণের জন্য ৪ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগরের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে ‘সেন্ট মার্টিন মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ ঘোষণা করে সরকার।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।

ওই প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, বৈশ্বিকভাবে হুমকির মুখে থাকা প্রবাল, গোলাপি ডলফিন, হাঙর, রে মাছ, সামুদ্রিক কাছিম, সামুদ্রিক পাখি, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য এবং এদের আবাসস্থল সংরক্ষণ; সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের টেকসই আহরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকার মানোন্নয়ন; ব্লু ইকোনমি সমৃদ্ধকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-১৪) অর্জনের লক্ষ্যে এই সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। এর আয়তন মাত্র তিন বর্গমাইল, যা কিলোমিটারে ৭ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। রয়েছে দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল। কোনোটির বৈধ অনুমোদন কিংবা পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। নৌকাতুল্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি ১২ হাজার মানুষ, ২ শতাধিক আবাসিক হোটেল, সরকারি ভবনসহ ৩ হাজার বসতবাড়ির চাপ সহ্য করতে পারছে না।