সেতু নয়, যেন এক মৃত্যুকূপ
বাংলাদেশ একটি সুজলা-সুফলা ও সবুজ অরণ্যের দেশ। এ দেশে বয়ে গেছে কতশত নদ নদী। নদীর কল্লোলের শব্দ আর পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখর সারা বাংলা। এ দেশে রয়েছে কত গ্রামগঞ্জ, রয়েছে আরও কত সৌন্দর্যের লীলাভূমি, যা গ্রামে গেলে এমন সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায়। প্রকৃতির সৌন্দর্যমণ্ডিত গ্রামের প্রতিটি স্থান। গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ আর খাল-বিলে সৌন্দর্যে মুখর। গ্রামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো গ্রামে অবস্থিত সেতুগুলো। ঠিক তেমনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ১০ নম্বর জোড্ডা ইউনিয়নের পশ্চিমে অবস্থিত ঘোড়াময়দান গ্রাম। এ গ্রামের কালিভিটা–সংলগ্নে আছে একটি সেতু। যদিও আগে সৌন্দর্যমণ্ডিত ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা আর নেই। থাকবে বা কেমন করে! কারণ, বর্তমানে সেতুটির বেহাল।
সেতুটির মধ্যবর্তী স্থানটি ভেঙে যায় ২০১৭ সালের শুরুর দিকে। কিন্তু আজ অব্দি নেই কোনো ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ। এ ব্যাপারে নেই কারও মাথাব্যথা। এই গ্রামের মানুষ চলাফেরা করছে ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে। দেখলে মনে হয় এটি সেতু নয়, যেন একটি মৃত্যুকূপ।
এই সেতু দিয়ে নিত্যদিন চলাফেরা করছে হাজারো মানুষ। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ চলাফেরা করছে। সেতুটি ঘোড়া ময়দান গ্রাম থেকে মানিকমুড়া হয়ে নাথেরপেটুয়া সংযুক্ত করেছে। এই সেতু দিয়ে চলছে মানুষের নিত্যদিনের চলাচল। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। যদিও প্রায় সময় ছোট ছোট ঘটনা ঘটছে। বড় ধরনের ঘটনা ঘটলে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ সেতুটির মেরামতের জন্য বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিলেও, এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বাস্তবায়িত রূপ দেখা যায়নি। আশ্বাস শুধু স্বপ্নই থেকে গেল, বাস্তবে রূপ নিল না।
যদিও বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে যেমন উন্নতির ছোঁয়া পেয়েছে, ঠিক তেমনি গ্রামাঞ্চলে উন্নতির ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যা এ সেতুটির দিক বিবেচনা করলে বোঝা যায়। বাংলাদেশ সরকার সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অনেক উন্নয়ন করছে এবং অনেক ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একজন সুনাগরিক হিসেবে আমি আশাবাদী প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে। তাই জনস্বার্থে ও গ্রামবাসীর কল্যাণের জন্য সেতুটি মেরামত বা সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতি শিগগিরই সেতুটি আগের রূপে রূপান্তর করে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা সময়ের দাবি। বিষয়টি অতি জরুরি।