২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘সেচের পানি দিতে গাফিলতি প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা’

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর নিমঘটু গ্রামে পানির জন্য বিষপানে নিহত কৃষক অভিনাথ মারানডির পরিবারের আহাজারি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিমঘটু গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

সেচের পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব। তিনি বলেন, সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যার বিষয়ে পুলিশও তদন্ত করছে, তারা ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন। সভায় আরও জানানো হয়, আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের নেই।

সেচের পানি না পেয়ে কৃষকের আত্মহত্যা বিষয়ে রাজশাহীতে গিয়ে তদন্তকাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। এ ঘটনায় সরেজমিন তদন্ত করার জন্য গতকাল রোববার চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেচের পানি সময়মতো না পাওয়ার কারণ উদ্‌ঘাটন করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।

এ বিষয়ে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, খবরটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। ‘সেচের পানি সময়মতো না পাওয়ার কারণ ও কৃষকের বিষপান’ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের চিহ্নিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এ কমিটি ইতিমধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে।

পেঁয়াজ আমদানির প্রসঙ্গে কৃষিসচিব বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে থাকি। এখন পর্যন্ত কৃষক পেঁয়াজের ভালো দাম পাচ্ছেন। অন্যদিকে সামনে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম যাতে না বাড়ে, সেটিও আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। তাই আমরা নিবিড়ভাবে বাজার মনিটর করছি, কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন

সভায় আরও জানানো হয়, চলমান ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের সংখ্যা ৭৭টি। মোট বরাদ্দ ৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ, যা জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। এ সময়ে জাতীয় গড় অগ্রগতি হয়েছে ৩৫ শতাংশ।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন