২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সুনামগঞ্জে জামানত গেল ২২ প্রার্থীর

নির্বাচন কমিশন ভবন
নির্বাচন কমিশন ভবন

সুনামগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনেই মহাজোটের বর্তমান সাংসদেরা আবার জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জয় হয়েছে। জেলার পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ৩২ প্রার্থী মধ্যে ২২জন প্রার্থী নির্বাচনী নীতিমালা অনুযায়ী ভোট না পাওয়ায় তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেলে ওই প্রার্থী জামানত ফেরত পাবেন। সে হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনে জামানত হারিয়েছেন ২২জন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বিএনপির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধরমপাশা) আসনে মোট ভোট পড়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯০৮টি। জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৬৪ হাজার ২৪ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজির হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৯১৫ ভোট। এখানে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তিনজনের। এরা হলেন জাকের পার্টির আমান উল্লাহ আমান, তিনি পেয়েছেন ৪৪৩ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের ফখর উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩০ ভোট এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বদরুদ্দোজা সুজা পেয়েছেন ১৮৫ ভোট।

সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই ও শাল্লা) মোট ভোট পড়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ২১৫টি। এ আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ জয়া সেনগুপ্তা। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ২৪ হাজার ১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাছির উদ্দিন চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৮৭ ভোট। এখানে জামানত হারিয়েছেন চারজন। এঁদের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টির গোলজার আহমদ পেয়েছেন ২০৮ ভোট, কমিউনিস্ট পার্টির নিরঞ্জন দাস ৩৩৩ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মাহমুদ হাসান চৌধুরী ৮৭ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলনের আবদুল হাই ৩৫৫ ভোট।

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৬৬৭টি। এই আসনে জয়ী হয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৬৩ হাজার ১৪৯ ভোট । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা শাহীনুর পাশা চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯২৫ ভোট। এখানে জামানত হারিয়েছেন চারজন। এঁদের মধ্যে এলডিপির মাহফুজুর রহমান খালেদ পেয়েছেন ৫১৩ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের মহিবুল হক আজাদ ৩২৮ ভোট, জাকের পার্টির শাহজাহান চৌধুরী ১২৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সৈয়দ মুবশ্বির আলী ৫১ ভোট।

সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ১৩ হাজার ৯০৪ টি। এখানে জয়ী হয়েছেন মহাজোটর প্রার্থী সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ; লাঙল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৩৭ হাজার ২৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোহাম্মদ ফজলুল হক আছপিয়া ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭৪৯ ভোট। এই আসনে জামানত হারিয়েছেন পাঁচজন। এঁদের মধ্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আল হেলাল পেয়েছেন ১১৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের তানভীর আহমদ তাছলিম এক হাজার ৫২৯ ভোট, খেলাফত মজলিসের মুফতি আজিজুল হক এক হাজার ৪১৬, এনপিপির মোহাম্মদ দিলোয়ার ৪৫৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান ৩৬৫ ভোট।

সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) মোট ভোট পড়েছে তিন লাখ ১৮ হাজার ৯৫৮টি। এই আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক; নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ২১ হাজার ৩২৮ ভোট। তাঁর নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৪২ ভোট। এই আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ছয় প্রার্থীর। এঁদের মধ্যে গণফোরামের আইয়ুব করম আলী পেয়েছেন ৬৪৬ ভোট, খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ সফিক উদ্দিন ২০৬ ভোট, ন্যাপের মো. আবদুল ওদুদ ৬৩৫ ভোট, বিএনএফের মো. আশরাফ হোসেন ৮১ ভোট, জাতীয় পার্টির নাজমুল হুদা ৫৫১ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের হুসাইন আল হারুন ৭৩৩ ভোট।