সিলেট ও নেত্রকোনার পথে ১৬ ট্রেনের পথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে
আকস্মিক বন্যার কারণে ঢাকা–সিলেট এবং ঢাকা–মোহনগঞ্জ পথে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের কাছে আজ শনিবার সকালে রেলসেতুর গার্ডার ভেসে গেলে ওই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর সিলেট স্টেশনে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ওই স্টেশন থেকে সব ট্রেন সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সিলেটগামী ট্রেনগুলো ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁও ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়া স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে।
রেলের কর্মকর্তারা জানান, সিলেটে পানি বেড়ে স্টেশন এলাকা ও লাইন পর্যন্ত ছুঁই ছুঁই হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় স্টেশনে চট্টগ্রামের পথে চলাচলকারী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন ছিল। পরে ট্রেনটি সরিয়ে নেওয়া হয়। ওই স্টেশনে একটি পাওয়ার কার (বিদ্যুৎ সরবরাহের কোচ) এবং চারটি যাত্রীবাহী কোচ রাখা হয়েছিল। সেগুলোও অন্য নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়েছে। আজ বিকেল পর্যন্ত আটটি ট্রেনের চলাচলের পথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
রেলের পরিচালন বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত আন্তনগর ও লোকালসহ আটটি ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু আজ সকাল সোয়া আটটার দিকে মোহনগঞ্জের আগে রেলসেতু ভেসে যাওয়ার খবর আসে। বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে পানি উঠে যায়। এমন পরিস্থিতিতে মোহনগঞ্জের পরিবর্তে ঢাকা থেকে বারহাট্টা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। আর মোহনগঞ্জে আটকে পড়া হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ওই ট্রেন অন্য কোচ ও ইঞ্জিন দিয়ে ঢাকা থেকে বারহাট্টা পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রেলের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতির যেভাবে অবনতি হচ্ছে, তাতে কখন কোন পথ বন্ধ হয়ে যায়, বলা মুশকিল। বিশেষ করে আগামী দুই দিন নেত্রকোনাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে সমস্যা হতে পারে।
জানতে চাইলে রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) সরদার সাহাদাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, সতর্কতা হিসেবে ট্রেন চলাচলের রুট সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে। রেলের কর্মীরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। জানমালের ক্ষতি হতে পারে, এমন পরিস্থিতি হলে ট্রেন বন্ধ রাখা হবে।