সিনহা হত্যা মামলা: এপিবিএনের ৩ সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ আদেশ দেন।


মামলার তদন্ত সংস্থা র‍্যাবের পক্ষ থেকে এই তিনজনকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এপিবিএনের তিন সদস্যের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই তিনজন হলেন এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ। এর আগে আজ এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র‍্যাব। তাঁরা ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন।


এপিবিএনের সদস্যদের কখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, সুবিধাজনক সময়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিন নূর কক্সবাজার যান ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলায় হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।


৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।