২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সাড়ে ৭ হাজার বাল্যবিবাহ

স্কুল খোলার পর দেখা গেল, অনেক ছাত্রী স্কুলে আসছে না। এর মধ্যে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিপড়ুয়া অনেক ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে।

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

করোনা মহামারির মধ্যে গত দেড় বছর দেশের ৯ জেলায় সাড়ে সাত হাজারের বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে। এসব জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের ঘটনা খুলনায়। এই জেলায় তিন হাজারের বেশি ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত বছরের মার্চ থেকে টানা দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর সারা দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। খোলার পরও অনেক ছাত্রী স্কুলে নিয়মিত আসছে না বলে নজরে আসে শিক্ষকদের। এরও আগে অনেক ছাত্রী নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্টও জমা দিচ্ছিল না। শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিপড়ুয়া অনেক ছাত্রীরই বিয়ে হয়ে গেছে। প্রধানত করোনাকালে আর্থিক অনিশ্চয়তা ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতাকে বাল্যবিবাহের কারণ হিসেবে দেখছেন শিক্ষা কর্মকর্তারা।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে আসা বাল্যবিবাহ বেশি হয়েছে, এমন ১৬ জেলার খবর নিয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা। বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের একটি জরিপেও বাল্যবিবাহপ্রবণ এই জেলাগুলোর নাম এসেছে। এগুলোর মধ্যে ৯টি জেলার ৭৬টি উপজেলার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা। এই ৯টি জেলা হলো খুলনা, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা ও জামালপুর। এসব জেলায় ৭ হাজার ৬৭৭টি বাল্যবিবাহের তথ্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা।

ওই ৯ জেলার ১৭টি উপজেলায় অন্তত ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা খোঁজ নিয়েছেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ হাজারের বেশি ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।

২২ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে দশম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে উপজেলা প্রশাসন। বিয়ের জন্য রান্না, অতিথিদের দাওয়াত করাসহ সামাজিক সব আয়োজনই ছিল ওই বাড়িতে। ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় দুই প্রতিবেশী ও পরিচিত এক কাজির সঙ্গে পরামর্শ করে বয়স বাড়িয়ে নকল জন্মনিবন্ধন তৈরি করা হয়। এরপর প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে বিয়ের আয়োজন করা হয়।

জানতে চাইলে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া ওই ছাত্রী কেঁদে ফেলে। বলে, ‘রাস্তায় যাতায়াতের সময় কিছু ছেলে উত্ত্যক্ত করত। এ জন্য পরিবার থেকে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল।’

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও দেশে বাল্যবিবাহ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। গতকাল বুধবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ, সমন্বয় ও সচেতনতা সৃষ্টি শাখা অনলাইনে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসংক্রান্ত এক কর্মশালাতে এমন উদ্বেগের কথা উঠে আসে। কর্মশালায় অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন।

কর্মশালায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, অনেক সময় ঘরের ভেতরে হওয়া এসব বিয়ের খবর পাওয়া যায় না। তবে এটা ঠিক করোনাকালে বাল্যবিবাহ বেড়েছে।

আজ জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। ২০০০ সাল থেকে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। মূলত মেয়েদের শিক্ষার অধিকারসহ নানা বৈষম্য থেকে সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে এ দিবসের সূচনা।

শুধু খুলনায় ৩ হাজার বাল্যবিবাহ

গত বছর মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরুর কিছুদিন পরই বিয়ে হয়ে যায় খুলনা নগরের রেলওয়ে মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক ছাত্রীর। তার মা বলছিলেন, ছোট একটি ভাতের হোটেল ছিল তাঁদের। ব্যবসা করে কোনোমতে সংসার চলত। করোনা শুরুর পর লকডাউনে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। অভাবে পড়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন। এখন মেয়ের সংসারে কলহ আর অশান্তি।

করোনাকালে খুলনা জেলার ১০ উপজেলায় গত দেড় বছরে ৩ হাজার ৯টি বাল্যবিবাহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা। সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে ডুমুরিয়ায়—৭৫১টি। এরপরে রয়েছে কয়রায় ৬৮১টি, পাইকগাছায় ৪৮৩টি। বাকি সাত উপজেলায় ১ হাজার ৯৪টি বাল্যবিবাহ হয়েছে।

অবশ্য বাল্যবিবাহ প্রতিরোধেরও উদ্যোগ আছে। মহিলা অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের হিসাবমতে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত বাল্যবিবাহের বিষয়ে তথ্য পেয়ে খুলনায় ৬৮টি বাল্যবিবাহ ঠেকানো গেছে। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাল্যবিবাহ ঠেকানোর জন্য আমাদের কাছে যত বার্তা আসে, হয়তো তার চেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে।’

আরও ৮ জেলার চিত্র

টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম বলেন, করোনাকালে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ২৪২ ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে আরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

শহরের টাঙ্গাইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের কিছু শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। টাঙ্গাইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১৫-১৬ জন ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। তবে তারা অনেকেই স্কুলে আসছে। বিয়ের কথা স্বীকার করছে না।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে শুধু দুটি বালিকা বিদ্যালয়েই ৩৫ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ছাত্রীর বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। তারা সিদ্দিকুর রহমান বালিকা বিদ্যানিকেতন ও আবদুল জব্বার রাবিয়া খাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

সিদ্দিকুর রহমান বালিকা বিদ্যানিকেতনের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটির (১৫) বাড়ি খালিয়াজুরি সদর ইউনিয়নে। গত নভেম্বরে তার বিয়ে হয় একই উপজেলার এক তরুণের (২৫) সঙ্গে। মেয়েটির বাবা বললেন, ‘করোনায় ইস্কুল বন্ধ আছিল। আমারও কাজ কাম নাই। অভাবের সংসার। বালা (ভালো) একটা ছেরা (ছেলে) পাইছি, তাই বিয়া দিয়া দিছি। নিজের সংসার বুইঝিয়া লইছে।’

নেত্রকোনো জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল গফুর জানান, নেত্রকোনায় ১০টি উপজেলায় ২৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।

দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও রাজারহাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৭৬৭ ছাত্রীর বাল্যবিবাহের খবর পাওয়া গেছে।

এর বাইরে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৮৫ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. মতিউর রহমান খন্দকার জানান, বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩৪৫ জনের মধ্যে ৮৫ জনের বাল্যবিবাহ হয়েছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানতে পেরেছেন।

বড়ভিটা ইউপির চেয়ারম্যান মো. খয়বর আলী বলেন, ‘করোনার কারণে আমার ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ বেড়েছে। আমরা এ জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার পর দুই সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা গার্লস হাইস্কুলের ৫৪ ছাত্রী স্কুলে আসেনি। প্রধান শিক্ষক পরিতোষ সরকার বলেন, এসব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা বিদ্যালয়ে আসছে না বলে জেনেছেন।

একইভাবে শ্যামনগরের নওয়াবেঁকি সফিরুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮২ ছাত্রী স্কুলে আসছে না। প্রধান শিক্ষক মো. হযরত আলীর ভাষ্য, এদের সবার না হলেও ৯০ শতাংশ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে।

সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানালেন, করোনাকালে কত ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে, সে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ৫০০-৬০০ ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কার্যালয় সূত্র বলছে, গোটা জেলায় ৪৮২টি বাল্যবিবাহের প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ১৪ জন স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ১৮ মাসে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৩৭টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় বলছে, জেলায় বাল্যবিবাহ হয়েছে ৪৩৯টি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, করোনাকালের দেড় বছরে বাল্যবিবাহবিরোধী ৫৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৭৭টি মামলায় ৮০ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর বরগুনার উপপরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালে জেলায় ১৯৭টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলায় ২১৭টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। তবে অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেরুন নাহার বলেন, ‘করোনাকালে যেখানে বাল্যবিবাহের খবর পাওয়া গেছে, সেখানে হাজির হয়ে ওই বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।’

মহিলা অধিদপ্তর জামালপুর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কামরুন নাহার বলেন, জেলায় ৪১ ছাত্রীর বাল্যবিবাহের তথ্য পাওয়া গেছে।

অবশ্য প্রথম আলোর প্রতিনিধি জেলার শুধু সদর উপজেলার ৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৫২ জন ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষকেরা এ তথ্য জেনেছেন।

বাল্যবিবাহ বন্ধের লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে দেশ

সাত বছর আগে লন্ডনে অনুষ্ঠিত গার্ল সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ ও ১৮ বছরের কম বয়সীদের বাল্যবিবাহ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা জানানোর পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ নির্মূলের অঙ্গীকার ঘোষণা করেছিলেন।

বাল্যবিবাহ নিরোধে নেওয়া জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে শূন্যের কোঠায় নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। বছরের আর তিন মাস বাকি। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) সর্বশেষ জরিপ (মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯-এমআইসিএস) বলছে, দেশে ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী মনে করেন, সরকারের সচেতনতা কার্যক্রমের ফলে কয়েক বছর ধরে বাল্যবিবাহ কমতে শুরু করেছিল। করোনাকালে সে ধারা ব্যাহত হয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাল্যবিবাহের হার বেড়েছে। খানা জরিপ করে বের করতে হবে ইতিমধ্যে কত শিক্ষার্থী আমরা হারিয়ে ফেললাম।’

বাল্যবিবাহের শিকার ছাত্রীদের আবার স্কুলে ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন রাশেদা কে চৌধূরী। বিয়ে হয়ে গেলেও লেখাপড়া চালু রাখতে ছাত্রীদের উপবৃত্তি অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন এই শিক্ষাবিদ।

[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা; মোহাম্মদ রফিক, বরগুনা; উত্তম মণ্ডল, খুলনা; পল্লব চক্রবর্তী, নেত্রকোনা; কামনাশীষ শেখর, টাঙ্গাইল; শাহাদৎ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া; আব্দুল আজিজ, জামালপুর; সফি খান, কুড়িগ্রাম ও আনোয়ার হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ; ইনজামামুল হক, বাগেরহাট]