সাধারণ নাগরিকের মতো নিরাপত্তা চাই, বেশি নয়: হাসনাত আবদুল্লাহ

সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহছবি: প্রথম আলো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে পুলিশের একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, চিঠিটির বিষয়ে তাঁরা অবগত নন। সাধারণ নাগরিকের মতোই তাঁরা নিরাপত্তা চান, বাড়তি কিছু নয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা গত রোববার থেকে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর শুরু করেছেন। তাঁরা প্রতিটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন।

৮ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি চিঠি র‍্যাব, হাইওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশ, পুলিশের বিশেষ শাখা, মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপারসহ পুলিশের বিভিন্ন শাখায় পাঠানো হয়। এর বিষয় ছিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সফরে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

চিঠিতে বলা হয়, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সফর করবেন বলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সমন্বয়কদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ মঙ্গলবার একটি মন্তব্য করেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কোনো রাষ্ট্রীয় সফরে আসিনি। আমরা রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক হিসেবে ছাত্র-জনতার কাছে এসেছি। একজন সাধারণ নাগরিক যেমন নিরাপত্তা পায়, আমরাও তেমন নিরাপত্তা চাই। এর বেশি নয়।’ তিনি আরও লেখেন, ‘এই নোটিশের (পুলিশের চিঠি) বিষয়ে আমরা অবগত নই কিংবা সরকারের কাছে আমরা এমন কিছু চাইনি।’

পুলিশের চিঠি নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, আমাদের কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, জনমানুষের নিরাপত্তা দেওয়া, কোথাও যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে। এই কাজগুলো আমাদের রুটিন (দৈনন্দিন) কাজ। আপনারা যে চিঠি দেখছেন, সেটি রুটিন কাজের অংশ।’

ইনামুল হক আরও বলেন, ‘বন্যার সময়ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিগুলো আপনারা পান না। এই চিঠিটি বাইরে এসেছে বলে মনে হচ্ছে বিশেষ কিছু। আসলে বিষয়টি তা নয়। এটা মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে রুটিন কাজের অংশ।’