ঢাকার যেকোনো থানায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন অতিরিক্ত কমিশনারের অনুমতি নিতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামত ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা না নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
আজ সোমবার ডিএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত মাসিক অপরাধ সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন। ডিএমপির অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) এসব নির্দেশনা পালনে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি বেড়েছে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে যাতে কেউ কোনো আগুনসন্ত্রাস বা নাশকতা করতে না পারে, সেদিকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
কর্মকর্তারা বলেন, অপরাধ দমনে ও প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক থাকায় ডিএমপির সব স্তরের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ঢাকার কয়েকটি স্বর্ণালংকারের দোকানে ভুয়া নাম-ঠিকানায় কাজ নিয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তাই চুরি ঠেকাতে ঢাকা মহানগরের প্রতিটি জুয়েলারি দোকানে কর্মরত কর্মচারীদের নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে রাখার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবলরা যাতে অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য তাদের কাউন্সেলিংয়ের কথা বলা হয়েছে। তাদের পুলিশের চাকরির গুরুত্ব এবং সম্মান ধরে রাখার গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দিতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন থানায় উদ্ধার হওয়া বেওয়ারিশ গাড়ি বা মোটরসাইকেলের তথ্য ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়ারে দিতে বলা হয়েছে। কারণ, অনেক সময় দেখা গেছে, একই গাড়ি অন্য কোনো থানায় নিখোঁজ কিংবা চুরি হিসেবে তথ্য রেকর্ড করে রাখা আছে। সিডিএমএসে তথ্য দিলে অনেক নিখোঁজ গাড়ি কিংবা অজ্ঞাত গাড়ির তথ্য পাওয়া যাবে।