সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গে সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত চলছে: র্যাব
এক দশকেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। তবে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেছেন, সর্বোচ্চ পেশাদারির সঙ্গে এই মামলার তদন্ত করছেন তাঁরা।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পূর্তিতে আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে যারা প্রাথমিকভাবে কাজ করেছে, সিআইডি, ডিবি, অন্যান্য সংস্থা, সাংবাদিকসহ যাদের কাছে যা তথ্য ছিল সবকিছু নিয়েই চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখনো মামলার তদন্ত চলছে।
‘দ্রুততম সময়ে’ এই মামলার তদন্ত শেষ করতে পারবেন বলে আশাবাদ জানান খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ‘ঘটনার দুই মাস পর র্যাবকে এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে র্যাব মামলাটির তদন্ত করছে।...আমাদের একটাই উদ্দেশ্য, কোনো নিরাপদ ব্যক্তির যেন র্যাবের তদন্তের মাধ্যমে সাজা না হয়।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। এই মামলায় আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ৮৫ বার পিছিয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন জানান, এ ঘটনায় ১৬০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষীদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিভিন্ন সময় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই মামলার তদন্তে সরকার এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে, মামলার আলামত পরীক্ষার জন্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই মামলার তদন্ত শেষ করতে পারব। এই মামলার তদন্তে অত্যন্ত আন্তরিক র্যাব। এই মামলার অগ্রগতি ‘টাইম টু টাইম’ আদালতকে জানানো হচ্ছে। সেই অনুযায়ী আদালত সময় বাড়াচ্ছেন।’