সবাইকে নৌকায় ওঠানোর দরকার নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সবাই এখন আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চান। সবাইকে নৌকায় ওঠানোর দরকার নেই। নৌকায় যাত্রী বেশি হলে সে নৌকা ডুবে যায়। কাজেই আমরা নৌকায় বেশি যাত্রী আর নেব না। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাবাদী ও সুযোগসন্ধানীদের চিহ্নিত করতে হবে।
আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী কিংবা অনুপ্রবেশকারীদের আচরণে যাতে সাধারণ জনগণ কষ্ট না পায় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় নেতা কর্মীদের তিনি আরও বেশি বিনয়ী, গণমুখী হওয়ার আহ্বান জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ মানে সংগ্রামের নাম, আওয়ামী লীগ মানে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার নাম, আওয়ামী লীগ মানে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের নাম। কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যখন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল তখন রাজনীতি ছিল ড্রয়িং রুম ভিত্তিক। তখন পেটি বুর্জোয়া ও বণিক শ্রেণির ভূ-স্বামীরাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। সেই রাজনীতিকে গণমানুষের কাতারে নিয়ে এসেছিল আওয়ামী লীগ। ৭০ বছর আগে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর, এ দল গণমানুষের একটি প্রিয় দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস জানা। নতুন প্রজন্মকে বলব আওয়ামী লীগের ইতিহাস পড়ার জন্য, বিশ্লেষণ করার জন্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ দেশ অনেক আগেই সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে পরিণত হতো। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা তা চায়নি। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু না থাকলে দেশ থেমে যাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তা হতে দেননি। তিনি বাংলাদেশকে অনুন্নত থেকে স্বল্পোন্নত দেশে নিয়ে গেছেন।
মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মালয়েশিয়ায় যে দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে দল ৫৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। এখনো তারা ক্ষমতায় আছে। একইভাবে যে দলের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুর স্বাধীন হয়েছিল সেই দল ৪০ বছর ক্ষমতায় ছিল। এখনো তারা রাষ্ট্রক্ষমতায়। কাজেই দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন, পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের অব্যাহতভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা উচিত বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ।