সব কারখানায় দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশ
গার্মেন্টসসহ দেশের সব কল-কারখানায় দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ আদেশ পালন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে শ্রম সচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি করে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি জানান, ২০০৬ সালে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার করার জন্য আইন করা হয়েছে। কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গার্মেন্টসসহ দেশের সব কল-কারখানায় দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ আদেশ পালন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে শ্রম সচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৯ মাস বয়সী এক শিশুর মায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৭ অক্টোবর সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শপিংমলে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনে একটি প্রস্তাব তৈরি করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিবকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছিল আদালত।
আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, মায়েরা দুধ পান করা শিশুদের নিয়ে জনসমাগমস্থলে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়েন। তাই এমন পরিবেশে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে হবে, যেখানে কোনো মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে যেন কোনো অস্বস্তি বোধ না করেন। এ কারণে রিট করা হয়েছে।