সংসদীয় কূটনীতির মাধ্যমে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা সম্ভব: স্পিকার
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় এশিয়া-ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি পার্টনারশিপ (আসেপ) একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট। এই জোটভুক্ত দেশের সংসদগুলো নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করলে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব।
আজ বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে দশম এশিয়া-ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি পার্টনারশিপ মিটিংয়ের (আসেপ-১০) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ: চ্যালেঞ্জ ফর মাল্টিল্যাটারালিজম’ শীর্ষক অধিবেশনে শিরীন শারমিন এ কথা বলেন। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্পিকার আরও বলেন, এই জোটে এশিয়া ও ইউরোপের সংসদ সদস্যরা জলবায়ুর পরিবর্তনের জটিল ও বিরূপ প্রভাবসমূহ তুলে ধরতে পারেন এবং সমষ্টিগতভাবে তা প্রতিকারের উপায় খুঁজে বের করতে পারেন। দেশগুলো সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করলে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা স্থিতিশীল রাখতে পারে।
জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা খুবই কঠিন কাজ বলে উল্লেখ করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এ সমস্যার প্রভাব পড়ছে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায়। কৃষি, ভূমি, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ সম্পর্কিত সমস্যা কোনো আঞ্চলিক বিষয় নয়। তাই ঝুঁকি মোকাবিলায় বৈশ্বিক ঐকমত্যের বিকল্প নেই।
শিরীন শারমিন ছাড়াও অধিবেশনে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট অ্যান্তেনিও তাজানি, স্পেন পার্লামেন্টের ডেপুটি কংগ্রেস আনা মারিয়া পাস্তোর জুলিয়ান, মঙ্গোলিয়ার পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ইয়োনডনপেরিলি বাটারবিলেগ ও চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ঝাং ঝিজু বক্তব্য দেন।