সংসদ থেকে বিএনপির ওয়াক আউট
একাদশ জাতীয় সংসদে আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেছে বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘অবান্তর ও অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য দেওয়ার’ অভিযোগ এনে আজ হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে বিএনপির সাংসদেরা ওয়াক আউট করেন।
আজ মাগরিবের নামাজের বিরতির পর অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, মন্ত্রী-সাংসদেরা নির্বাচনী প্রচার ও নির্বাচনসংক্রান্ত কাজে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-সাংসদেরা তা মানছেন না। তাঁরা ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। এই দুই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
বর্তমান সরকারের সময় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের সমালোচনা করে ‘গণতন্ত্রের‘ স্বার্থে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার দাবি জানান হারুন। তিনি এ বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য দাবি করেন। তা না হলে সংসদ থেকে ওয়াক আউট করারও হুমকি দেন।
হারুনুর রশীদের বক্তব্যের পর সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদ তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমু ফ্লোর নিয়ে পাল্টা জবাব দেন। এই দুই নেতা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি এবং ইসির সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের বিষয়ে বক্তব্য দেন। প্রসঙ্গক্রমে বিএনপি সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সংসদ উপনির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনের অনিয়মের কথা তুলে ধরেন।
সরকারি দলের দুই সদস্যের বক্তব্যের পর হারুন দাঁড়িয়ে যান। দলের অন্য সদস্যরাও হারুনকে অনুসরণ করে সংসদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।
হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি শেয়ারবাজার ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বক্তব্যে শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচনের নিশ্চয়তা চেয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দাবি করেন। কিন্তু সরকারি দলের দুজন জ্যেষ্ঠ সাংসদ সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিয়ে অবান্তর বক্তব্য দেন। সদুত্তর না পেয়ে তাঁরা সংসদ থেকে ওয়াক আউট করেছেন।