সংঘাত যিনি বন্ধ করবেন তাঁকেই ভোট দেবেন তাঁরা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় এবার ৯ হাজার ৬৫৭ জন নতুন ভোটার ভোট দেবেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ ভোটার বলেছেন, ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত যিনি বন্ধ করবেন তাঁকে ভোট দেবেন। কয়েকজন ভোটার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে থেকে যিনি সম্প্রীতি বজায় রেখে এলাকার উন্নয়ন করবেন তাঁকেই ভোট দেবেন।
বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দীঘিনালার নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এমন অভিমত জানা গেছে। চট্টগ্রামের পোর্টসিটি ইন্টারন্যাশনাল দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মেকি ত্রিপুরা বলেন, ‘ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধে যিনি সবার আগে পদক্ষেপ নেবেন তাঁকেই ভোট দেব।’
ঢাকা লালমাটিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী বিপাশা চাকমা বলেন, ‘একজন সৎ যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেব। সবচেয়ে ব্যথিত করে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত। যে সংঘাতে ছোটকালে আমি বাবাকে হারিয়েছি। আর যেন কোনো সন্তান ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে বাবা হারা না হয়। অবশ্যই ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত যিনি বন্ধ করার উদ্যোগ নেবেন তাঁকেই ভোট দেব।’
ভরসা দেওয়ান, প্রেয়সী চাকমা, টেনসি দেওয়ান নামে নতুন ভোটার হওয়া তিন নারী জানান, ‘যিনি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের উদ্যোগ নেবেন তাঁরা তাঁকেই ভোট দেবে।
ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিপা বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘আমি জীবনের প্রথম ভোট দেব। যিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আছেন, সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলে এলাকার উন্নয়ন করবেন তাঁকেই জীবনের প্রথম ভোট দেব।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মৌমিতা বসু বলেন, ‘অবশ্যই আমার প্রথম পছন্দ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ। দ্বিতীয়ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, অধিকার সুরক্ষা করবেন। তৃতীয়ত সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত সমাজ যিনি গড়ে তুলে তরুণ প্রজন্মের যোগ্যতায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন তাঁকেই জীবনের প্রথম ভোটটি দেব।’
ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘যার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন হবে। যিনি গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থাকবেন তাঁকে ভোট দেব।’
নতুন প্রজন্মের ভোটার বাপ্পা বড়ুয়া, রাফি পাটোয়ারী ও সোহানুর রহমান জানান, ‘তাঁরা প্রথমে গুরুত্ব দিচ্ছেন মাদকমুক্ত সমাজকে। যে মাদক সমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে। দ্বিতীয়ত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধ করা। তৃতীয়ত, অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি। এসবে যিনি প্রাধান্য দেবেন তাঁকেই জীবনের প্রথম ভোট দেব। আর অবশ্যই সে প্রার্থীকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হতে হবে।
দীঘিনালায় ৯ হাজার ৬৫৭ জন নতুন ভোটার ভোট দেবেন। পুরুষ ভোটার বেড়েছে ৪ হাজার ৫০২ জন, নারী ভোটার বেড়েছে ৫ হাজার ১৫৫ জন।