কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় আজ রোববার সকাল নয়টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরানা মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাহফিলের প্রধান অতিথি।
কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’–এর ব্যানারে এই শুকরানা মাহফিল হচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সংগঠনটির চেয়ারম্যান।
মাহফিল উপলক্ষে সারা দেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ইমামদের ঢাকায় আনা হয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। এর দেড় মাস পর ঘটা করে এই শুকরানা মাহফিলের আয়োজন নিয়ে কওমি আলেমদের একটি অংশের মধ্যে অসন্তোষ আছে।
সূত্র বলেছে, ‘সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ কথাটি তুলে দেওয়া এবং ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে যৌথ বাহিনীর অভিযানের ঘটনা উল্লেখ করে গত ১০ অক্টোবর ৬২ জন আলেম শাহ আহমদ শফীকে চিঠি দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ করেন।
সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীসহ অনেক আলেম শুকরানা মাহফিলে আসছেন না।
তবে মহাসচিব এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী রাকিবুল ইসলাম ফারুকী গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, হুজুর (বাবুনগরী) ঢাকায় যাচ্ছেন না।