২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

শিশুকে পেটানোর মামলায় সেই শিক্ষক কারাগারে

ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি মাদ্রাসায় আট বছর বয়সী এক ছাত্রকে বেধড়ক পেটানোর মামলায় গ্রেপ্তার মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা মো. ইয়াহিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদা শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট। ১৪ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষ বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আজ বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া মাদ্রাসাশিক্ষককে আজ আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

মাওলানা ইয়াহিয়া হাটহাজারী সদরের মারকাযুল ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসার শিক্ষক। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে ওই শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়।

আরও পড়ুন

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটিকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেছেন। তাঁরা প্রথমে মামলা করতে রাজি না হলেও পরে বুঝিয়ে রাজি করানো হয়।

এই মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আদালতে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, হেফজ বিভাগের শিশুটির জন্মদিন ছিল গতকাল। এ উপলক্ষে তাকে দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে মা-বাবা মাদ্রাসায় আসেন। তাঁরা চলে যাওয়ার পরপরই শিশুটি মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হয়। তখন শিশুটিকে ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন শিক্ষক ইয়াহিয়া। ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক ইয়াহিয়া শিশুটিকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যান। পরে তিনি শিশুটিকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।

আরও পড়ুন

মারধরের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ওই মাদ্রাসায় যান। একই সঙ্গে শিশুটির মা-বাবাকেও খবর দেওয়া হয়।

ইউএনও রুহুল আমিন প্রথম আলোকে জানান, তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিযুক্ত শিক্ষক, মাদ্রাসার পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁকে হাটহাজারীর কোনো মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।