শাহজালালে ৩য় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন। এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
আজ ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’ নামে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি নতুন ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৭-৯ এবং বিমানের একটি নতুন মোবাইল অ্যাপসেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে সরকারি কোষাগার থেকে আসবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ আসবে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে।
জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসং একটি কনসোর্টিয়াম হিসেবে টার্মিনালের নির্মাণকাজ করবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে দুটি টার্মিনালে (টার্মিনাল-১ ও টার্মিনাল-২) যেখানে ১০ লাখ বর্গফুটের মতো ‘স্পেস’ রয়েছে, সেখানে নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনালের ‘স্পেস’ হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুট।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শাহজালাল বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি হবে। এবং কার্গোর ধারণক্ষমতা বর্তমান ২ লাখ টন থেকে বেড়ে ৫ লাখ টন হবে।
ফলে একক নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরের মাধ্যমে নতুন টার্মিনালটির সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে প্রথমে ১৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে একটি পৃথক আমদানি-রপ্তানি কার্গো হাউস স্থাপন ও নতুন ভিভিআইপি টার্মিনাল প্রকল্প কাজের কিছু অংশ বর্ধিত করায় মোট প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা হয়েছে।
প্রকল্পের বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব গত ১০ ডিসেম্বরের একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। চার বছরের মধ্যে এই টার্মিনালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন (প্রাইভেট) লিমিটেড সিঙ্গাপুরের রোহানি বাহারিনের নকশায় তিন তলাবিশিষ্ট তৃতীয় টার্মিনালের ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার স্পেস থাকবে।