যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, সতর্ক করার জন্য করেছে। আর সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে আমেরিকা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তাদের ধারণা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেছি। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, সতর্ক করার জন্য করেছে।
সম্প্রতি তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করে—আমি বলেছি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবাধিকারের বিষয়কে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তারা প্রশংসা করেছে। তাদের ধারণা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে এটা হবে।’
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকে বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি, আমাদের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করেছে। কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হয়তো ভুল করেছে, সে জন্য ১৯০ জন র্যাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের কৃষি, অর্থনীতি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যু এবং সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় মার্কিন দূতাবাসের অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে মেগান ফ্রান্সিস উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে দেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে কৃষি খাতে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা সিস্টেম (এনএআরএস) উন্নয়নে বেশ সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে কৃষি উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে কৃষি খাতে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে কৃষি বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন আমেরিকার কৃষিপণ্যের ২৬তম বাজার। সামনের দিনগুলোতে কৃষি খাতে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞপ্তি