শরীফ উদ্দিনের পুনর্বহালের আবেদন নাকচ করল দুদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে পুনর্বহালের আবেদন গ্রহণ করেনি এই কমিশন। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) শরীফ উদ্দিনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (কর্মচারী) বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৫৪ (২) অনুযায়ী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করেন। পর্যালোচনা শেষে তাঁর আবেদন কমিশনের কাছে বিবেচিত হয়নি।
শরীফ উদ্দিন দীর্ঘ সময় চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন। তিনি কক্সবাজারে ৭২টি প্রকল্পে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, কিছু রোহিঙ্গার এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ বেশ কিছু দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মামলা করেন। এতে তিনি অনেকের ‘চক্ষুশূল’ হয়ে উঠেছিলেন।
গত বছরের ১৬ জুন শরীফ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। এরপর তাঁকে ‘অজ্ঞাত’ কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়।
কমিশনের (কর্মচারী) বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) উচ্চ আদালতে দুবার চ্যালেঞ্জ হয়েছে। তা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। কাল (আজ বৃহস্পতিবার) আমার মামলার শুনানির তারিখ ধার্য আছে। এ অবস্থায় দুদক কীভাবে আমার পুনর্বহালের আবেদন নামঞ্জুর করে, তা বোধগম্য নয়মো. শরীফ উদ্দিন, দুদকের চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক
গত ৩০ জানুয়ারি হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শরীফ উদ্দিন। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁকে চাকরিচ্যুতির আদেশ দেয় দুদক। প্রতিবাদে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে তাঁর সহকর্মীরা মানববন্ধন করেন। শরীফ উদ্দিন কর্মচারী বিধি ৫৪ (২) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন; যা এখনো বিচারাধীন। এর মধ্যেই দুদক এই সিদ্ধান্ত নিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. শরীফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিশনের (কর্মচারী) বিধিমালা ২০০৮–এর বিধি ৫৪ (২) উচ্চ আদালতে দুবার চ্যালেঞ্জ হয়েছে। তা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। কাল (আজ বৃহস্পতিবার) আমার মামলার শুনানির তারিখ ধার্য আছে। এ অবস্থায় দুদক কীভাবে আমার পুনর্বহালের আবেদন নামঞ্জুর করে, তা বোধগম্য নয়।’