রূপগঞ্জে সেতুর কারণে ভোগান্তিতে ১৪ গ্রামের মানুষ
মাত্র একটি সেতুর কারণে ১৪ গ্রামের ৩৫ হাজার মানুষ এক বছর ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে শুরু হওয়া সেতুটির নির্মাণকাজ চলতি বছরের এপ্রিলে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। সেতু না হওয়ায় স্থানীয় ব্যক্তিরা প্রতিদিন কোমরসমান পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন, চলতি বছরেই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা-সোনারগাঁও সড়কের কান্দাপাড়া খালের ওপর জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের ১৪ গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করত। লোকজন চলাচলের পাশাপাশি রিকশা, অটোরিকশাও চলাচল করত। অনেক বছরের পুরোনো হওয়ায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। গত বছরের প্রথম দিকে সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নতুন সেতু নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেতুটির দরপত্র পায় পিপিএল এসি জেবি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের নভেম্বরে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসে।
সেতুর পাশেই কথা হয় হালেমা খাতুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভাই, আমাগো পোড়া কফালের কতা কইয়া কী করমু। গার্মেন্টেসে যাই-আহি কোমড় হোমান পানি ভাইঙ্গা। কন এই কষ্ট কি সইবার?’ রিকশাচালক ফকির আলী বলেন, ‘সেতু আছিল সময় টিপ মারবার পারতাম ভালাই। অহন তো কোনো টিপ পাই না। কেহ যদি মাল আনে তাইলে টিপ পাই।’
সেতুর পাশের রাস্তাটিতে জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় ব্যক্তিরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। রিকশা, ইজিবাইকে ঝুঁকি নিয়ে মালামাল পার করা হচ্ছে। রাস্তাটি পানির নিচে ও সরু হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটছে। তারাবো পৌরসভার কাউন্সিলর রাসেল শিকদার বলেন, সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করা দরকার।
রূপগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ বলেন, সেতুটির কাজ ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে। ভোগান্তি দূর করতে আপাতত রাস্তার ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো করে দেওয়া হবে।