যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস—এমন অভিমত নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে এক আসামির করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৯ মে তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আদালতে আইনি মতামত তুলে ধরতে চার আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ আজ বৃহস্পতিবার শুনানির ওই দিন ধার্য করেন এবং একই সঙ্গে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে চার আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এফ হাসান আরিফ, আবদুর রেজাক খান ও মুনসুরুল হক চৌধুরী।
একটি হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। তাঁদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্সও (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। তাঁরা হলেন আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর ও আনোয়ার হোসেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাসসহ সাত দফা অভিমত দেন।
আপিল বিভাগের দেওয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামি আতাউর মৃধা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন, যা আজ শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির।