রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার তামাক কোম্পানির জন্য নয়
রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের জন্য তামাক কোম্পানিকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার নীতিমালা ২০২০’ এই বাদ দেওয়ার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার নীতিমালা ২০২০’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি জারি হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। চলতি মাসের ১১ তারিখ এ–সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত নীতিমালার ৭.১ ধারায় যেসব প্রতিষ্ঠান এই পুরস্কারের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, এর একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে ‘তামাক বা তামাকজাতীয় পণ্যভিত্তিক বা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে’ এই পুরস্কারের অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. গোলাম ইয়াহিয়া আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, তামাককে নিরুৎসাহিত করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার নীতিমালায় তামাক ও তামাকজাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে অযোগ্য ঘোষণার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আজ সংগঠনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমন একসময় শিল্প মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপ নিল, যখন বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মহামারি অতিক্রম করছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তামাককে করোনা সংক্রমণ সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয়। প্রজ্ঞাসহ তামাকবিরোধী সংগঠনসমূহের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও কয়েক বছর ধরে বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এই পুরস্কার পেয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অন্যান্য মন্ত্রণালয়েরও উচিত হবে প্রাণঘাতী তামাক পণ্য উৎপাদনকারী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত না করা। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে অকালে মারা যায়। প্রধানমন্ত্রী তামাক ব্যবহারের ভয়াবহতা উপলব্ধি করেই ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।