যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান
সমাজের সব স্তর থেকে যৌন নিপীড়নকারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার নারী-পুরুষ। নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ রোববার বেলা ১১টায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে যৌন নিপীড়ন বন্ধের অঙ্গীকার করা হয়। নিপীড়নের শিকার মানুষের পক্ষে দাঁড়ানোর এবং নিপীড়নকারীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রতি।
মানববন্ধনে বলা হয়, যৌন নিপীড়ন বন্ধে পাঠ্যসূচিতে নারীকে শ্রদ্ধা করার মনোভাব শেখাতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে।
যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী কমিটি গঠনের জোর দাবি জানানো হয়।
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক সংগঠনের নেতা, মানবাধিকারকর্মী এই আন্দোলনের প্রতি তাঁদের সংহতি প্রকাশ করেছেন। যৌন নিপীড়নের শিকার ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হবে, অপরাধীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে—এই দাবি জানানো হয়েছে মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, নিজেরা করির প্রধান সমন্বয়কারী খুশী কবীর, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী শুভ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মইনুল আলম, বাংলাভিশনের বার্তা সম্পাদক শারমিন রিনভি, হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা মুশফিকা লাইজুসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং এনজিও ও রাজনৈতিক কর্মীরা।