মৌলভীবাজারে ৯৪ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারে অনেকটা নিয়মিতই করোনাভাইরাসের শনাক্ত বেড়ে চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪৬ জনের। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। শনাক্তের মধ্যে গ্রামাঞ্চলের রোগীর সংখ্যাই এখন বেশি হচ্ছে।

আজ বুধবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল কেন্দ্রে নমুনা প্রদানকারীদের মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪২ জনের, জুড়ী ৮, শ্রীমঙ্গল ১১, কমলগঞ্জ ২, বড়লেখা ৫, কুলাউড়া ১৬ এবং রাজনগরে ১০ জন। এ পর্যন্ত সারা জেলায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৩২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৫০ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩২ জন। এর মধ্যে শনাক্ত রোগী ১৮ জন এবং সন্দেহভাজন ১৪ জন। বাসাবাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫০১ জন। মারা গেছেন ৩৮ জন। গত বছরের ৪ এপ্রিল মৌলভীবাজারের রাজনগরে প্রথম করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি মারা যান। পরে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ৮০ জনের। ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৮২ জনের। শনাক্ত হয়েছে ৭৮ জনের। ১৩ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৭৪ জনের। শনাক্ত হয়েছে ৮৬ জনের। ২০ থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫৯ জনের। শনাক্ত হয়েছে ১৫২ জনের। ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৭০ জনের। শনাক্ত হয়েছে ২৪৩ জনের। এদিকে ৪ জুলাই থেকে আজ ৭ জুলাই পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪০ জনের। শনাক্ত হয়েছে ২৩২ জনের। এ ছাড়া ৩ জুলাই থেকে গতকাল ৬ জুলাই পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ জন।

সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, মৌলভীবাজার জেলায় কোভিড রোগীর জন্য জেলা সদর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোয় ১৪০টি শয্যা আছে। তার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলা সদরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে আছে ৬০টি। এ ছাড়া পাঁচটি আইসিইউ আছে। হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা আছে পাঁচটি। এ ছাড়া রাজনগরে আছে ৩০টি শয্যা এবং শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখাতে ১০টি করে ৫০টি। সব শয্যার সঙ্গে অক্সিজেন সুবিধা রয়েছে। সারা জেলায় অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ৪৪৫টি।

জেলা সিভিল সার্জন চিকিৎসক চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি রোগী বেশি না। জটিল রোগী কম। লো ফ্লো অক্সিজেন দিয়েই আমরা কাভার করতে পারছি। এখন গ্রামের রোগীই বেশি শনাক্ত হচ্ছে। গ্রামের হাটবাজারগুলোয় কোনো স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরা কিছুই মানা হচ্ছে না। লোকজন অবাধ চলাচল করছে।’

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা জানান, লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সকাল থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৩২টি মামলা হয়েছে। ২৭ হাজার ২০০ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়েছে। সাময়িক আটক করা হয়েছে নয়জনকে।