অনিয়ম রুখতে বাণিজ্য মেলার খাবারের দোকান মূল্য তালিকা দেখানো না হলে সেই দোকান মেলা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্ধ করে দেবে পুলিশ। ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ইতিমধ্যে বাণিজ্য মেলাকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ডিএমপি সূত্র জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের পৃথক প্রবেশ ও বাহির গেট। প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশ করানো, মেলা প্রাঙ্গণ ও তার আশপাশে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা দিয়ে সমগ্র মেলা এলাকা ও তার আশপাশ ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা। টিকিট কালোবাজারি ও ইভটিজিং রোধে থাকবে পুলিশের বিশেষ দল। মেলার অভ্যন্তরে সুবিধাজনক স্থানে ৪টি হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা। মেলার অভ্যন্তরে থাকবে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। মেলা প্রাঙ্গণে মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
বাণিজ্য মেলায় গৃহীত নিরাপত্তা সম্পর্কে পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৪ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। পূর্বের ন্যায় আমরা যথেষ্ট মজবুত ও সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে মাসব্যাপী পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা প্রাঙ্গণে কোনো হকার ও ভিক্ষুক থাকবে না। অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে প্রতিটি স্টলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশে স্থাপন করা হবে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার।
মেলার নিরাপত্তায় ডিএমপি সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
আলোচনা সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (উপ পরিচালক অর্থ) মোহাম্মদ আবদুর রউফ, গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, সরকারি সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বাণিজ্য মেলার বিভিন্ন প্যাভিলিয়নের প্রতিনিধিসহ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।