রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত এক বছরেও শেষ হয়নি। ওই ঘটনায় করা মামলার আসামি রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ তিনজন জামিনে বেরিয়ে গেছেন। আজ শনিবার সেই ভয়াবহ ঘটনার এক বছর পূর্ণ হলো।
গত বছরের ২৮ মার্চ গুলশানের কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে এফআর টাওয়ারে আগুন লেগে ধোঁয়ায়, লাফিয়ে পড়ে, পুড়ে ২৭ জন নিহত ও অন্তত ৭৫ জন আহত হন। ওই ঘটনায় বনানী থানার পুলিশ বাদী হয়ে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম ও প্রকৌশলী ফারুক হোসেনকে আসামি করে বনানী থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়।
মামলাটির তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ও ডিবির উপকমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনের মালিক, ব্যবস্থাপনা, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও নকশা অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও অবহেলায় জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই মামলার অভিযোগ প্রস্তুত করা হবে।
মশিউর রহমান বলেন, পুলিশ এফআর টাওয়ারের একাংশের মালিক তাসভীর উল ইসলাম ও জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু কিছুদিনের মাথায় তাঁরা জামিনে বেরিয়ে যান। আর রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভবনটির অনুমোদন ছিল ১৯ তলার, সেটি রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ২৩ তলা করা হয়। ভবনের জরুরি বহির্গমন পথ অপ্রশস্ত ও অপরিকল্পিত ছিল। দেয়ালে পানির পাইপ থাকার কথা থাকলেও, তা সব দেয়ালে ছিল না এবং ছিল অকার্যকর। সব দেয়ালে ফায়ার অ্যালার্ম ছিল না। রাজউক কিছু কর্মকর্তাকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটি ও নিহতদের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ডিবির হাতে এসে পৌঁছেছে।