মানুষ ভালো নেই, তা বোঝার ক্ষমতা হারিয়েছে সরকার: পঙ্কজ ভট্টাচার্য
মানুষ যে ভালো নেই, এটুকু বোঝার ক্ষমতা ক্ষমতাসীন সরকার অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে। সে জন্যই ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পরও সরকারের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অসংলগ্ন বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য।
ঈদ-পরবর্তী দেশের পরিস্থিতিতে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের করণীয় নির্ধারণে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ মন্তব্য করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সভার শুরুতে সংগঠনের সাবেক উপদেষ্টা জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ও কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৪তম মৃত্যুদিবস উপলক্ষে তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে সরকার ভোজ্যতেলের যে মূল্য নির্ধারণ করেছিল, দেশের কোথাও সেই মূল্যে ভোজ্যতেল পাওয়া যাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর বাণিজ্যমন্ত্রীর বিশ্বাসের কথা দায়িত্বহীন ও দেশবাসীকে হতাশ করেছে।
পঙ্কজ ভট্টাচার্য আরও বলেন, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ৫১ বছর আগে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছিল, তা এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মানুষের অসহায়ত্ব এখন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এখন প্রতিনিয়ত বিকৃত ও সংকুচিত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সারওয়ার আলী বলেন, দেশের মেগা প্রকল্পসহ আর্থসামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে অর্থনীতিবিদেরা ইতিমধ্যে দেশের নিরাপত্তা ও অগ্রযাত্রার ওপর তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছেন। এগুলো বিবেচনায় নিয়ে এখনই সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ বলেন, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বাংলাদেশ সরকারের আরও দায়িত্বশীল না হয়ে বরং রাষ্ট্রীয় কাজে অবাধ লুটপাটের চিত্র দেশবাসীকে হতাশ করেছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সারওয়ার আলী, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেব প্রমুখ।