মানবসৃষ্ট কারণকে দায়ী করলেন বিমানমন্ত্রী

হাঙ্গেরি সফরে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য মানবসৃষ্ট কারণকে দায়ী করেছেন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। ঘটনাটি নাশকতার জন্য করা হয়েছিল কি না, তা নিরাপত্তাসংশ্লিষ্টরা খতিয়ে দেখছে। গতকাল রোববার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।

মেনন বলেন, এয়ারক্রাফটের ক্ষেত্রে এ ধরনের ত্রুটি বা নিরাপত্তাঝুঁকির সৃষ্টি হলে তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে তদন্ত পরিচালিত হয়। প্রথমত, কারিগরি; দ্বিতীয়ত, পরিবেশগত এবং তৃতীয়ত, মনুষ্য গাফিলতি। মন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতীয়মান হয়েছে যে এ ক্ষেত্রে মানবসৃষ্ট ত্রুটি কাজ করেছে। তবে এটা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অবহেলা, নাকি নাশকতা, তা নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট এজেন্সি খতিয়ে দেখছে।

গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের পথে রওনা হওয়া বিমানের উড়োজাহাজটি ওড়ার চার ঘণ্টা পর আকস্মিকভাবে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাতে জরুরি অবতরণ করে। বিমান কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, গত ২৬ নভেম্বর এয়ারক্রাফটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপরই ভিভিআইপি ফ্লাইটের নিরীক্ষণ শুরু হয়। এ সময় গ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার একটি ‘স্ট্যাটাস মেসেজ’ পান, যাতে উল্লেখ ছিল ‘অয়েল প্রেশার সেনসর (লেফট)’। এই মেসেজ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করা হয়। ফ্লাইটটি যখন লাহোর অতিক্রম করছিল, তখন পাইলটের দৃষ্টিতে আসে যে এয়ারক্রাফটের বাম দিকের ইঞ্জিনের অয়েল প্রেশার কমে আসছে। তবে ডান দিকের ইঞ্জিন স্বাভাবিক কর্মক্ষম ছিল।

মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই। ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি আরও সচেতনতার সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে।