মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ
ফেনীর দাগনভূঞায় আবারও মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আবদুর রহমান (৩০) নামের এক মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। পাশাপাশি শারীরিক পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ফেনীর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
এর আগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন জেলার সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। অভিযোগ আনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ এপ্রিল দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল ঢাকায় নুসরাতের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ফেনীসহ সারা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর যৌন নিপীড়ন বন্ধ হয়নি। ১৫ এপ্রিল দাগনভূঞায় মাদ্রাসার শিক্ষক শহীদুর রহমানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে। এর পরদিন ১৬ এপ্রিল ফেনী সদরের আরেক মাদ্রাসার শিক্ষক মো. হারুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধেও ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে ৪ এপ্রিল দাগনভূঞায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিমকে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকালের ঘটনাসহ এই নিয়ে ধর্ষণ, বলাৎকার ও যৌন অপরাধের অভিযোগে জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা–বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল আটক হওয়া শিক্ষক আবদুর রহমান কুমিল্লার সরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছমি উদ্দিন বলেন, তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র ছিল। গত রোববার শিশুটি ছুটিতে বাড়ি যায়। তবে তাকে মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হলে সে কান্নাকাটি শুরু করে। পরে একপর্যায়ে সে জানায়, গত শনিবার রাতে শিক্ষক আবদুর রহমান তাকে বলাৎকার করে। শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানার পর পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ পরে ওই মাদ্রাসায় হাজির হয়ে আবদুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।