মাদকবাহী ট্রাকটি উঠিয়ে দেওয়া হলো র্যাব সদস্যের ওপর
গাজীপুরের পোড়াবাড়ীর তল্লাশিচৌকিতে থামার সংকেত অমান্য করে এগিয়ে যায় মাদকবাহী ট্রাকটি। পেছন থেকে মোটরসাইকেলে ধাওয়া করেন র্যাবের দুজন সদস্য।
ট্রাক থেকে গাঁজার বস্তা ফেলে র্যাব সদস্যদের গতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়।
কনস্টেবল মো. ইদ্রিস মোল্লা (২৮) থামার পাত্র নন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে ধাওয়া করতে থাকেন ট্রাকটিকে। ময়মনসিংহের ভালুকার কাছে গিয়ে ট্রাকটির পথ আগলে দাঁড়ান। কিন্তু চালক ইদ্রিসের ওপর দিয়েই চালিয়ে দেন ট্রাকটি। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কনস্টেবল ইদ্রিস।
র্যাবের পরিচালক (গণমাধ্যম ও আইন) আশিক বিল্লাহ বলেন, আজ রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে টঙ্গী থেকে ৩০ কেজি গাঁজার চালান নিয়ে একটি ট্রাক গাজীপুরের মাওনা যাচ্ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ক্যাম্পের সামনে একটি তল্লাশিচৌকি স্থাপন করে। পরে সন্দেহজনক একটি ট্রাককে আসতে দেখে সেটিকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু চালক ট্রাক না থামিয়ে চালিয়ে যেতে থাকেন।
এ অবস্থায় র্যাবের সিনিয়র ডিএডি মো. গোলাম মোস্তফা ও কনস্টেবল মো. ইদ্রিস মোল্লা মোটরসাইকেল নিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাওয়া করেন। ট্রাকটি বাগের বাজার এলাকায় পৌঁছানোর পর মোটরসাইকেলের সামনে এক বস্তা গাঁজা ফেলে ধাওয়ারত র্যাব সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় ইদ্রিস মোল্লা ট্রাকটিকে অনুসরণ করতে থাকেন। ময়মনসিংহের ভালুকার কাছে গিয়ে ট্রাকটির গতিরোধ করেন তিনি। তখন ট্রাকটি ইদ্রিসকে চাপা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ইদ্রিস মোল্লা মারা যান।
পরে ট্রাকটিকে ভালুকা থেকে জব্দ করা হয়। তবে ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান।
র্যাবের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ঘটনায় ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। ট্রাকচালক ও তাঁর সহকারীকে আটকে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। নিহত ইদ্রিস মোল্লার বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওরের কেল্লাই গ্রামে। ২০১১ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। পরে ২০১৯ সালে প্রেষণে র্যাবে যোগদান করেন।