মধ্যাহ্নভোজের অজুহাতে ঢাকা-১৪ আসনের তিনটি কেন্দ্রে প্রায় দুই ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।
ভোটগ্রহণে বিলম্বের জন্য এ সময় কেন্দ্রগুলোর বাইরে অপেক্ষমাণ কয়েক শ ভোটার উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাঁরা পুলিশের সঙ্গে বচসায়ও লিপ্ত হন।
ঢাকা-১৪ আসনের এই কেন্দ্র তিনটি হলো—দারুস সালাম, বিএডিসি হাইস্কুল ও এফএম স্কুল।
দুপুর ১২টার দিকে দারুস সালাম হাই স্কুলের মূল ফটকের বাইরে শতাধিক ভোটারকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তাঁদের কেউ আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন।
শহিদুল নামের এক ভোটারের ভাষ্য, তিনি উত্তরায় থাকেন। কিন্তু দারুস সালাম কেন্দ্রের ভোটার। উত্তরা থেকে অনেক কষ্ট করে, অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে ভোট দিতে এসেছেন তিনি। ভোট গ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শহীদুল।
শাহরিয়ার নামের আরেক ভোটার বলেন, ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে এসেছেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ লাইনে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দেওয়ার আগ্রহই শেষ হয়ে গেছে তাঁর।
অভিযোগ শুনে সাংবাদিকেরা কেন্দ্রটির ভেতরে গিয়ে দেখেন সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, পুলিশ ও সরকারি দলের লোকেরা মিলে বিরিয়ানি খাচ্ছেন। এই আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসলামুল হক এই বিরিয়ানি পাঠিয়েছেন বলে জানা যায়।
নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন ভোট হওয়ার কথা।
ভোটারদের অপেক্ষায় রেখে মধ্যাহ্নভোজের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসার সাইফুল ইসলাম বিষয়টি না জানার ভান করেন। ভোটগ্রহণের ব্যাপারে এ সময় তিনি ব্যস্ততা দেখান। পরে আধঘণ্টার মধ্যেও কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি।
ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক সাজুর অভিযোগ, তিনটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ রেখে ভেতরে নৌকার প্রতীকে সিল মারা হয়ে থাকতে পারে।