পুলিশ সদর দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি
মণ্ডপ-মন্দির-বাড়িতে হামলায় ৭১ মামলা, আটক ৪৫০
নোয়াখালীতে ১৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হাতিয়ায় আটটি, বেগমগঞ্জে ছয়টি এবং সোনাইমুড়ী, কবিরহাট, চাটখিল ও সেনবাগে একটি করে মামলা হয়েছে।
কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে দেশের অন্যান্য স্থানে পূজামণ্ডপ, মন্দির, বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭১টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরও কিছু মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে থানা–পুলিশের বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, নোয়াখালীতে সর্বোচ্চ ১৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হাতিয়ায় আটটি, বেগমগঞ্জে ছয়টি এবং সোনাইমুড়ী, কবিরহাট, চাটখিল ও সেনবাগ থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২৮৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯০ জন। এ ছাড়া চৌমুহনীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরও দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে গতকাল প্রথম আলোকে জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
নোয়াখালীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচটি মামলা হয়েছে কুমিল্লায়। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৫৬২। গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪০ জনকে।
চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে চারটি। এসব মামলায় অজ্ঞাতসহ ১ হাজার ৪৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯৩ জন। এ ছাড়া চাঁদপুর, ফেনী ও গাজীপুরে তিনটি করে মামলা হয়েছে।
এদিকে গত রোববার রাতে রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে।