ভোলায় ঝড়ে ঘরের চাল ভেঙে কিশোরের মৃত্যু
ভোলা সদর উপজেলায় আজ রোববার বিকেলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের চাল ভেঙে মো. রাজীব (১৩) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় দুই গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এতে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। উপজেলার কালাসুরা ও দরিরাম শংকর গ্রামে ঝড়ে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ঝড়ের সময় সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চরপাতা গ্রামে কিশোরের মৃত্যু হয় বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবীর। ঘটনাস্থলেই রাজীবের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি। নিহত রাজীবের বাবার নাম মো. কামাল।
ঝড়ে বিপুলসংখ্যক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় শহর ও গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রাত নয়টা পর্যন্ত ভোলা সদর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ বলেন, বিদ্যুৎ লাইনে সংস্কারকাজ চলছে। সংস্কার শেষ হলে বিদ্যুৎ করা হবে। ধনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির জানান, বিকেলের দিকে প্রচণ্ড বাতাসের সঙ্গে হঠাৎ করেই ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে দুটি গ্রামের শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর বেশির ভাগ দরিদ্র। অনেকে ধারণা করছেন, এটি টর্নেডো। স্থানীয় নাছির মাঝি এলাকার বাসিন্দা পল্লি চিকিৎসক মহিউদ্দিন জানান, ঝড়ে একটি মাদ্রাসা, ব্র্যাক স্কুলসহ অসংখ্য ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে মহিউদ্দিনের দোকান, খায়ের, আনিস, ইউসুফ, নুরু মাঝি মোর্শেদ, হোসেন, সাইফুল, সবুজ, সুফিয়ান, মান্নান ও নবীর নাম পাওয়া গেছে। এ ছাড়া একটি ব্র্যাক স্কুল ও একটি কওমি মাদ্রাসা বিধ্বস্ত হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।