ভোলার সেই লিটনকে আটক রাখার বৈধতা নিয়ে রিট

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির সঙ্গে নামের মিল থাকায় ভোলার মো. লিটনকে আটক রাখার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং লিটন আবেদনকারী হয়ে আজ সোমবার রিটটি করেন।
‘শুধু নাম-ঠিকানার মিলে জেল খাটছেন দিনমজুর’ শিরোনামে ২২ আগস্ট প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়, যা যুক্ত করে রিটটি করা হয়। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এই রিটের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান আসকের আইনজীবী মো. শাহিনুজ্জামান।

মো. শাহিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পরিচয় নিশ্চিতে লিটনকে সশরীরে বা ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে হাইকোর্টে কেন হাজির করা হবে না এবং তাঁকে অবিলম্বে কেন মুক্তি দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। লিটনকে গ্রেপ্তার ও তাঁর কারাবাস বেআইনি ও বাতিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শক, ভোলার পুলিশ সুপার ও ভোলার জেলা প্রশাসকসহ ছয়জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, দুজনের নামই মো. লিটন। বাবার নাম, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নামও এক। পার্থক্য শুধু বয়সে। একজনের অপরাধে প্রায় আট মাস ধরে কারাগারে রয়েছেন অপরজন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটনের বয়স ৪১ বছর। আর যিনি জেল খাটছেন, তাঁর বয়স ৩০ বছর। তবে পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার লিটন একবারের জন্যও বলেননি যে তিনি আসামি নন।