ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম নিয়ে রিট সরাসরি খারিজ
আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন অনুসারে ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার বৈধতা নিয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদিন পর ৯ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়।
১০ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা হয়। সভায় ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ শিরোনামে গত ৯ জুলাই আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
আইনটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম আসিফুল হক গত ২৩ আগস্ট একটি রিট করেন। রিটের ওপর ২৩ নভেম্বর শুনানি শেষে আজ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
পরে মো. বশির উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আদালত রুল না দিয়ে রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট আরও আগেই চালু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চলছে। করোনা মহামারিকালে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বিচারপ্রার্থীদের কাছে বিচার পৌঁছে দেওয়া জরুরি। যে কেউ চাইলে ভার্চ্যুয়াল আদালতের কার্যক্রম দেখতে ও শুনতে পারেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
রিট আবেদনকারী এ কে এম আসিফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।