ভারতীয় গণমাধ্যমে পরেশকে প্রাধান্য
বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার মামলার রায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও জায়গা করে নিয়েছে। রায়ে সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ১৪ জনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হলেও ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে তাদের দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা পরেশ বড়ুয়ার ফাঁসির খবরটি প্রাধান্য পেয়েছে।
পরেশ বড়ুয়া ভারতের আসাম রাজ্যের বিছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম বা উলফার সামরিক শাখার প্রধান। তিনি বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের শিরোনাম ছিল ‘পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনের ফাঁসির আদেশ বাংলাদেশে’। খবরে বলা হয়, অস্ত্র মামলায় উলফার সাবেক প্রধান পরেশ বড়ুয়া ও জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীসহ ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বাংলাদেশের এক আদালত।
ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার খবরের শিরোনাম ‘উলফার প্রধান ও সাবেক দুই মন্ত্রীর ফাঁসির রায় দিলেন বাংলাদেশের আদালত’। এনডিটিভি লিখেছে, বাংলাদেশে ২০০৪ সালের অস্ত্র চোরাচালান মামলায় উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়া ও আরও ১৩ জনকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে।
আর ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরের শিরোনাম ছিল ‘উলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ড দিলেন বাংলাদেশের আদালত’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে অস্ত্র উদ্ধারের সবচেয়ে বড় ঘটনাটিতে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হলো প্রায় ১০ বছর পর। রায়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রধান ও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতাসহ ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস-এর খবরের শিরোনাম ‘মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াকে’। পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় আজ যে ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছেন উলফার নেতা পরেশ বড়ুয়া, সাবেক দুই মন্ত্রী ও কয়েকজন জেনারেল। পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে তাঁর অনুপস্থিতিতেই। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন উলফার এই নেতা বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকার খবরের শিরোনামে জায়গা পেয়েছেন নিজামী। শিরোনামটি ছিল ‘বাংলাদেশে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় জামায়াতে ইসলামীর প্রধানসহ ১৪ জনের ফাঁসি’।
কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার অনলাইন খবরের শিরোনাম ‘বাংলাদেশে অস্ত্র চোরাচালানিদের মৃত্যুদণ্ড’। খবরে বলা হয়, অস্ত্র চোরাচালান মামলায় আদালত ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা।