বুড়িগঙ্গার তীরে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। মুন্সিখোলা এলাকা থেকে পাগলা বাজারঘাট পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ ছাড়া নদীর তীরে পাথর ফেলে ব্যবসা করার অভিযোগে পাথর ও বালি জব্দ করে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করে ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে পাগলা মুন্সিখোলা এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামীমা বানু।
ঢাকা নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে পাগলা মুন্সিখোলা এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মাটি ফেলে দখল করা জায়গার মাটি এক্সকাভেটর দিয়ে অপসারণের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এরপর মুন্সিখোলা ডিএন রোড এলাকায় সাজেদা ম্যানশনের চারটি আধা পাকা দোকানের জায়গার প্রায় চার ফুট অংশ উচ্ছেদ করা হয়। মুন্সিখোলা এলাকা থেকে পাগলা বাজারঘাট পর্যন্ত বুড়িগঙ্গার তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ছোট-বড় টং ও ছাপরাঘর এবং টিনশেডের আধা পাকা স্থাপনাসহ প্রায় অর্ধশত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
সাজেদা ম্যানশনের মেসার্স ওয়াহেদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের আধা পাকা টিনশেডের রডের চারটি দোকান উচ্ছেদকালে স্থাপনাটির মালিক মো. সেলিমের ছেলে মো. সোহেল জানান, দুই বছর আগে তাঁর বাবা এখানে ৯ শতাংশ জায়গা কিনে। বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জায়গার পেছন দিকের কিছু অংশ নদীর জায়গা বলে ভেঙে দিয়েছে। এ ছাড়া উচ্ছেদের বিষয়ে আগে কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। নোটিশ পেলে আগেই মালামাল সরানো যেত।
বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নম্বর ৩৫০৩/২০০৯-এর আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে বুড়িগঙ্গা তীরে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু একশ্রেণির ভূমিদস্যু ও দুর্বৃত্তরা নদীর তীর দখল করে মাটি ভরাটসহ বালু ও পাথরের ব্যবসা চালাচ্ছে। নদীর তীরে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফউদ্দিন, উপসহকারী পরিচালক নুর হোসেন ও মো. আসাদুজ্জামানসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন।