বিচারকাজ এমনই হওয়া উচিত: অ্যাটর্নি জেনারেল
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে রাফি হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম। তিনি বলেছেন, বিচারকাজ এ রকমই হওয়া উচিত। অল্প সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর রায় হওয়া উচিত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ফেনীতে নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ঢাকায় সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানান।
নুসরাত হত্যা মামলায় রায়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এই রায় দিয়েছেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি এই জন্য যে, বিচারকাজটি অতি ত্বরিতগতিতে সম্পন্ন হয়েছে। এটা বিচার বিভাগের জন্য বিরাট সার্থকতা। একটা মাইলফলক। সব বিচারকাজ যদি এ রকম ত্বরিতগতিতে সম্পন্ন হয়, বিশেষ করে খুনের মামলাগুলোর, তাহলে অন্ততপক্ষে জনগণ বিচার পাবে।’
মাহবুবে আলম বলেন, এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার যদি না হতো, তাহলে সমাজের কাছে এই বার্তা যেত না যে, খুন-রাহাজানি করলে কেউ পার পায় না। এই বিষয়টিই এ মামলার রায়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মাহবুবে আলম বলেন, নিম্ন আদালত রায় দিয়েছেন। এটা চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে উচ্চ আদালতে। এই মামলায় কতজনের ফাঁসি বহাল থাকবে, তা নির্ধারিত হবে হাইকোর্ট বিভাগ যখন ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করবেন।
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় তাঁর মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বোরকা পরা পাঁচ দুর্বৃত্ত। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ নুসরাতের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: