বাস-থ্রি হুইলার সংঘর্ষ, ভাইবোনসহ নিহত ১২
গোপালগঞ্জে বাস ও থ্রি-হুইলারের (মাহেন্দ্র) সংঘর্ষে ভাইবোনসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫ জন। আহতদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুরের নীমতলা এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে খুলনাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস নীমতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক আসা থ্রি হুইলারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ওই থ্রি হুইলার সড়কের পাশে গভীর পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই বাস ও থ্রি-হুইলারে ১০ যাত্রী নিহত হন। পরে আরও দুজন মারা যান।
নিহতেরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের ঝিলু গাজীর ছেলে মোর্শেদ গাজী (৫৫), তেবাড়ীয়া গ্রামের কাশেম শেখের দুই ছেলে জানে আলম শেখ (৩৭) ও আকাব্বার শেখ (৩৩), মাহেন্দ্র চালক শুকতাইল গ্রামের ফিরোজ মোল্লার ছেলে রাজীব মোল্লা (৩০), শুকতাইল গ্রামের রঙ মিস্ত্রী আল-আমিনের ছেলে নয়ন শেখ (১১) ও মেয়ে মরিয়ম খানম (৮), আল-আমিনের শালিকা মেঘলা (৯) ও শাশুড়ি রেনু বেগম (৪৫), চন্দ্র দিঘলীয়া গ্রামের সলেমান সিকদারের ছেলে জগলু সিকদার (৩৫) এবং আব্বাস মোল্লার ছেলে সাদ্দাম মোল্লা (২৫)। বাকি দুই জনের পরিচয় জানা যায়নি।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রী কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মুকসুদপুর থেকে ওই গাড়িতে উঠে পেছনের দিকের আসনে বসেছিলাম। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো দেখে আমার ভয় করছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে শুনতে পাই। পরক্ষণে গাড়ি থেকে নেমে দেখি গাড়ির সামনে মাহেন্দ্রটি খাদে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
দুর্ঘটনার পর গোপালঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মোকলেসুর রহমান সরকার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের পরিচয় জানা গেছে। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ওই দুজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।