বাজিতপুরে ড্রেনেজ-ব্যবস্থার দুরবস্থায় ওয়ার্ডবাসীর দুর্ভোগ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ৬ নম্বর ওয়ার্ড তথা ভাগলপুর গ্রাম। এখানে একটি মেডিকেল কলেজ, একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, একটি নার্সিং ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানও। যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এ ওয়ার্ডটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পৌরসভার একমাত্র রেলস্টেশনসহ পৌর বাস টার্মিনালটি ৬ নম্বর ওয়ার্ডেই অবস্থিত। এমনকি বাজিতপুর উপজেলার অপর গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনটিও (সরারচর রেলস্টেশন) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গেই সংযুক্ত।
বাজিতপুর পৌরসভার সবচেয়ে অবহেলিত ৬ নম্বর ওয়ার্ড। গত কয়েক বছরে এই ওয়ার্ডের দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি। রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই নাজুক। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মূল রাস্তাটি, যা জহুরুল ইসলাম রোড নামে পরিচিত (জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ থেকে পৌর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত) তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা খুবই দুর্বল। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। ড্রেন উপচে রাস্তার ওপর দিয়ে পানি যায়। বৃষ্টি বেশি হলে পানি বসতবাড়িতে অনেক সময় ঢোকে। এই এলাকার সড়কবাতির বেশিরভাগই জ্বলে না।
এ ব্যাপারে বাজিতপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা ট্যাক্স দিই, সেগুলো যায় কোথায়? সরকারি যে বরাদ্দ আসে, সেগুলো যায় কোথায়? গত কয়েক বছরে আমাদের এলাকার কোনো উন্নতি হয়নি।’
গত শনিবার (১১ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাত হলে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন দুর্ভোগের একের পর এক ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট এবং শেয়ার হতে থাকে। একপর্যায়ে সেগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ফোনে বলেন, ‘আমি চার বছর আগে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর পৌরসভা থেকে লোকজন এনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিটা অলিগলি মাপজোক করিয়েছি এবং প্রতিটা রাস্তা মেরামত করার জন্য অনুরোধ করেছি। এরপর জহুরুল ইসলাম রোড মেরামতের ব্যাপারে টেন্ডার হয় এবং টাকাও বরাদ্দ হয়। কিন্তু কন্ট্রাক্টরের কাগজপত্রে সমস্যা থাকার কারণে ৩ দফা কাজ পেছানো হয়। আমি এ ব্যাপারে মাননীয় সাংসদ ও মেয়রের কাছে বারবার গিয়েছি। কিন্তু জানি না কী অদৃশ্য কারণে এ কাজ হচ্ছে না। ফলে এলাকার মানুষের অনেক জন দুর্ভোগ হচ্ছে।’