দেখা যাচ্ছে ‘জি বাংলা’, নেই বিজ্ঞাপন
টানা ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে ভারতের ‘জি বাংলা’ চ্যানেলটি। বিজ্ঞাপন ছাড়াই (ক্লিন ফিড) ‘জি বাংলা’ বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য স্যাটেলাইটে আপলিংক করছে। সেখান থেকে এদেশীয় কেব্ল অপারেটররা তা ডাউনলিংক করে যখনই অনুষ্ঠান তখনই প্রচার (রিয়েল টাইম) করছেন।
বাংলাদেশে জি বাংলার পরিবেশক প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানের ফাঁকে বিজ্ঞাপনের সময়টিতে ওই চ্যানেলের অন্য অনুষ্ঠানের ‘প্রোমো’দেখানো হচ্ছে।
ঢাকা ও বাইরের জেলাগুলো থেকে দর্শকেরা এখন জি বাংলা চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন। ঢাকার মিরপুর, উত্তরা, লালবাগ, রামপুরা, লালমাটিয়ার দর্শকেরা জি বাংলা দেখতে পারছেন বলে কথা বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার রাত থেকে জি বাংলা দেখতে পাচ্ছেন কেব্ল অপারেটরের গ্রাহক ও ডিটিএইচের দর্শকেরা। কেব্ল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, জি বাংলা কর্তৃপক্ষ নিজেরাই ক্লিন ফিড চ্যানেল দিচ্ছে। সেটি পরিবেশকেরা প্রচার করছে। তিনি বলেন, পরীক্ষামূলক একটি চ্যানেলের মাধ্যমে ফিড ‘ক্লিন’ এনে প্রচার করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বন্ধ থাকা অন্য চ্যানেলগুলো সম্প্রচারে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন কেব্ল অপারেটরদের এই নেতা।
বাংলাদেশে জি নেটওয়ার্কের সব চ্যানেলের পরিবেশক মিডিয়া কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কেউই এখনো বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি নন।
২০০৬ সালের কেব্ল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৯(১৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার বা সঞ্চালন করা যাবে না।’
চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধের পর পরিবেশকেরা বলেছিলেন, বাংলাদেশের বাজার ছোট। এ কারণে ক্লিন ফিড চ্যানেলের প্রচার করতে চান না ব্রডকাস্টাররা। আর পরিবেশক বা অপারেটররা বিজ্ঞাপনমুক্ত করে চ্যানেলের সম্প্রচার করবে, এই সক্ষমতাও তাঁদের নেই।
এর মধ্যেই বিজ্ঞাপনমুক্ত হয়ে ‘জি বাংলা’ সম্প্রচারে আসায় অন্য চ্যানেলগুলো ক্লিন ফিড পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কেব্ল অপারেটর ও পরিবেশকেরা।
তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জি বাংলাসহ এখন বিবিসি, সিএনএন, আল–জাজিরা এইচডি, ডিডব্লিউ, কেবিএস ওয়ার্ল্ড, এআরআই র্যাংগ টিভি, এনএইচকে ওয়ার্ল্ড, সিজিটিএন, রাশিয়া টুডে, ফ্রান্স ২৪, লোটাস, ট্রাভেল এক্সপি এইচডি, আল কুরান, আল সুন্না, ট্রাভেল এক্সপি ও দূরদর্শন টেলিভিশন বাংলাদেশের দর্শকেরা দেখতে পাচ্ছেন। এর সবই ‘ক্লিন ফিড’ প্রচার হচ্ছে।