বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু
এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্লাইট চলাচল কাল রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) শুরু হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানও গতকাল শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নতুন সূচির কথা ঘোষণা করেছে।
৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালনা করবে। পাশাপাশি ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা-দিল্লি রুটে সপ্তাহে দুই দিন রোববার ও বুধবার বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিমান সংস্থা ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে। বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা গন্তব্যে ৫ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট শুরুর কথা জানিয়েছে।
এর আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) দেওয়া এক চিঠিতে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট চলাচলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেবিচক গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চলাচল শুরু হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় ফ্লাইট চলাচল করবে। এয়ার বাবল চুক্তি হচ্ছে, এক গন্তব্য থেকে আরেক গন্তব্য সরাসরি ফ্লাইট। মাঝে কোথাও ট্রানজিট হবে না।
বেবিচক জানিয়েছে, ভারত থেকে আসা যাত্রীরা ‘বিজনেস ভিসা’ নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। আসার পর তাঁদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বাংলাদেশ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা-কলকাতা ও ঢাকা-দিল্লিতে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট এবং ইউএস বাংলা ঢাকা-চেন্নাই গন্তব্যে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারত তাদের তিনটি এয়ারলাইনসকে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে প্রতি সপ্তাহে স্পাইস জেট তিনটি এবং ইনডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এ সময় ভারত থেকে যারা বাংলাদেশে যাবেন, তাঁদের বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে। আর যাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারত যাবেন, তাঁদের ভারতীয় বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর নিজ খরচে করোনার পরীক্ষা করাতে হবে। তবে এই সময়ে ভ্রমণ ভিসাধারী যাত্রীদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।