বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে মুজিব বর্ষে এক চিত্রকরের ভিন্ন উদ্যোগ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চিত্রকর বাদশা মিয়া (২৮) ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নিজ উদ্যোগে তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো এঁকে বেড়াচ্ছেন। তাঁর স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লোগোটি আঁকার মাধ্যমে কার্যক্রম সমাপ্ত করা।
বাদশা মিয়ার বাড়ি নালিতাবাড়ী শহরের গড়কান্দা মহল্লায়। ছোটবেলা থেকেই জীবিকার সন্ধানে আর্টকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। রং আর তুলির ছোঁয়ায় ব্যানার, সাইনবোর্ড ইত্যাদি লিখে চলে তাঁর সংসার। তাঁর আর্ট সেন্টারের নাম ‘চিত্রকর বাদশা’। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি অসীম ভালোবাসা ছিল বাদশার। তাই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে কিছু করার জন্য সব সময় চেষ্টা করতেন তিনি। অবশেষে তিনি সেই সুযোগ পান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লোগোটি নিজ উদ্যোগে অঙ্কনের পরিকল্পনা করেন তিনি।
গত ১০ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো আঁকা শুরু করেন বাদশা। এখন পর্যন্ত তিনি অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লোগো অঙ্কন করেছেন। তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগোটি আঁকা। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সফলভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগোর অঙ্কন শেষ করতে পারলে জেলার বাকি উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতেও লোগো আঁকবেন তিনি।
গড়কান্দা মহল্লার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বলেন, চিত্রকর বাদশা বয়সে তরুণ। এই পেশায় তাঁর সংসার চলে। কিন্তু মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নিজের প্রচেষ্টায় তিনি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর লোগো এঁকে যাচ্ছেন। তিনি রং কিনে তুলি দিয়ে এই কাজ করছেন। তাঁর এই উদ্যোগে শিক্ষকসহ এলাকার মানুষ প্রশংসা করছেন।
নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র মো. আবু বক্কর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর লোগো আঁকতে গেলে সময় ও খরচের ব্যাপার রয়েছে। বাদশা চাইলে আমরা তাঁকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে পারি। তাঁর এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।’
চিত্রকর বাদশা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদেরও কিছু করার আছে। যেহেতু আমি চিত্রাঙ্কন করি, তাই আমার সাধ্যমতো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর লোগো আঁকার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে ৬৩টি প্রতিষ্ঠানে এঁকেছি। পর্যায়ক্রমে জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর লোগো আঁকা হবে। এই কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’