বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সঙ্গী পেল নীলগাই
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একাকিত্বে থাকা স্ত্রী নীলগাইটির সঙ্গী পেয়েছে। গতকাল পার্কে একটি পুরুষ নীলগাই ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে স্ত্রী নীলগাইটি উদ্ধার করা হয়।ওই পুরুষ নীলগাইটি দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যান থেকে আনা হয়েছে বলে পার্ক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একাকিত্বে থাকা স্ত্রী নীলগাইটির সঙ্গী পেয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা দুইটায় পার্কে একটি পুরুষ নীলগাই অবমুক্ত করা হয়। ওই পুরুষ নীলগাইটি দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যান থেকে আনা হয়েছে বলে পার্ক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, দুপুরে বিশেষ বাক্সে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় নীলগাইটিকে শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। এর আগে সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক শফিউল আজম প্রাণীটিকে এখানে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার কারণে আনতে দেরি হয়েছে।
সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, পার্কে আগেই একটি স্ত্রী নীলগাই ছিল। এটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এটি সঙ্গীবিহীন একা একা বিচরণ করছিল। সে সময় তৎকালীন প্রধান বন সংরক্ষক শফিউল আজম জুটি পূর্ণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। গতকাল অবমুক্ত করা পুরুষ নীলগাইটি গত জানুয়ারি মাসে নওগাঁর সাপাহার থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করার পর এটিকে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিল।
সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দুপুরে নীলগাইটিকে এখানে এনে আগের নীলগাইয়ের সঙ্গে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত নতুন আসা নীলগাইটি অপরটির কাছাকাছি অবস্থান করছে। এখন পার্কে নীলগাইয়ের জুটি পূর্ণ হয়েছে। অনেক দূর থেকে ভ্রমণ করে এসেছে প্রাণীটি, তাই এটির বিশ্রাম প্রয়োজন। আমরা নীলগাইটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখব। পঞ্চগড়, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় একসময় নীলগাইয়ের বসতি ছিল। কিন্তু এখন একেবারেই নেই। সীমান্তের ওপারে ভারতের কিছু কিছু পাহাড়ে এখনো টিকে আছে এরা। মাঝেমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতেও শোনা যায়।