ফেসবুকে ‘মৃত’, টুইটারে ক্ষোভ ঝাড়লেন তসলিমা নাসরিন
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মৃত দেখিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। তাঁর পেজে ঢুকতেই দেখা গেছে, ‘রিমেমবারিং তসলিমা নাসরিন’ বার্তা। এমনকি পরিচিতদের শোক জানানোর সুযোগ দিতে চালু করা হয়েছিল ‘ট্রিবিউট টু তসলিমা’ অপশনও। সাধারণত অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর মৃত্যুর পর তাঁর পেজে পরিচিতদের শোক জানানোর সুযোগ দিতে এমনটা করে থাকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে খুদে ব্লগ সাইট টুইটারে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে আছি। কিন্তু তোমরা আমাকে মেমোরালাইজড করে রেখেছ। খুবই দুঃখের সংবাদ। তোমরা এটা কীভাবে করতে পারলে? অনুগ্রহ করে আমার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দাও।’
ঘটনার আগের দিন তসলিমা নাসরিন ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আমি চাই, আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।’
জীবিত থাকা সত্ত্বেও তাসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রিমেমবারিং দেওয়ার কারণ কী হতে পারে, সে বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশেষজ্ঞের কাছে। তাঁদের মতে, এটা নানা কারণে হতে পারে। এটি ফেসবুকের ত্রুটির (এরর) কারণে, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের ত্রুটির (বাগ) জন্য হতে পারে।
আবার ওই প্রোফাইলের কনটেন্ট বা পোস্ট এমন কোনো শব্দ থাকে, যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) বুঝিয়ে দেয় ব্যক্তি মৃত্যু। এ ছাড়া অনেক ব্যবহারকারী যদি ফেসবুকে ওই ব্যক্তি মৃত বলে রিপোর্ট করে, তবেও এমন হতে পারে। ব্যবহারকারী অভিযোগ করলে রিমেমবারিং লেখাটা চলে যাবে।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পেজে গিয়ে আর ‘রিমেমবারিং তসলিমা নাসরিন’ দেখা যায়নি।