ফরিদপুরে কামাল ইবনে ইউসুফের গণসংযোগে হেলমেট বাহিনীর হামলার অভিযোগ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের নির্বাচনী গণসংযোগে ‘হেলমেট বাহিনীর’ হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে শহরের চকবাজারে এই ঘটনা ঘটে।
বিএনপির প্রার্থীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই হামলায় তাদের চার নেতাসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারা তাৎক্ষণিক হামলার বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশকে জানিয়েছে।
কামাল ইবনে ইউসুফের ব্যক্তিগত সহকারী ইসারত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজারের চালপট্টি এলাকায় সাপ্তাহিক হাটে দোকানি ও ক্রেতাদের মধ্য ৩০ জনে মতো নেতা-কর্মী নিয়ে গণসংযোগ করছিলেন কামাল ইউসুফ। এমন সময় হেলমেট পরিহিত ২০ জনের মতো যুবক হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা নিয়ে কামাল ইউসুফের সামনে দিয়ে পেছন দিকে যায়। এরপর পেছন থেকে ওই যুবকেরা কামাল ইউসুফের পেছনের সারিতে থাকা শহর বিএনপির সহসভাপতি লিয়াকত হোসেন লাবলুকে (৬০) হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এই হামলায় বিএনপির সহসভাপতি এএফএম কাইয়ুম, শহর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান চুন্নুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
ইসারত হোসেন বলেন, ঘটনার পরই জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ঘটনার পর কামাল ইউসুফ চাঁদপুর ইউনিয়নে পূর্বনির্ধারিত একটি নির্বাচনী সভার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউনুস আলী শেখসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হামলার ঘটনার পর কামাল ইউসুফ নেতা-কর্মীদের নিয়ে থানা রোডে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপুল কুমার দে হামলাকারীদের সরিয়ে কামাল ইবনে ইউসুফকে গাড়িতে উঠিয়ে দেন। এরপর কামাল আহতদের দেখতে সদর হাসপাতালে যান।
ইসারত হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর চৌধুরী কামাল ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে সালমা তানজিয়ার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে হামলার ঘটনা জানান। জেলা প্রশাসক এ সময় বিষয়টি দেখবেন বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, কামাল ইউসুফ চকবাজারে গণসংযোগ করতে গেলে তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়— এই অভিযোগ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। তিনি বলেন, কামাল ইউসুফের গায়ে কোনো আঘাত লাগেনি। পরে তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন।
এ ব্যাপারে বিএনপি প্রার্থী কামাল ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার জন্যই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’